প্রেস বিজ্ঞপ্তি ::
প্রাচীন ব্যবসায়ীক স্থান হলেও ঈদগাঁও ক্রমে অবহেলিত উল্লেখ করে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অব.) ফোরকান আহমদ বলেছেন, প্রাচীন আমল থেকেই ব্যবসায়ীক স্থান হিসেবে ঈদগাঁও বাজার পরিচিত। দিনে দিনে এখানে ব্যবসার প্রসারতা ঘটেছে। সরকার লাখ লাখ টাকা রাজস্ব এখান থেকে পেয়ে থাকলেও অবকাঠামোগত উন্নয়ন বঞ্চিত এতদঞ্চল। তাই প্রধান সড়ক সংস্কার, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও যানজট নিরসনে সর্বজন গ্রহণ যোগ্য মতামতের ভিত্তিতে ঈদগাঁওকে প্রসিদ্ধ আধুনিক ব্যবসায়ীক কেন্দ্রে রূপান্তর করতে হবে। এটি করতে হলে সরকারের পাশাপাশি সবার সহযোগিতা দরকার।
কক্সবাজার সদরের অন্যতম বাণিজ্যিক কেন্দ্র ঈদগাঁও বাজারে বিরাজমান সমস্যা দ্রুত সমাধানকল্পে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কউক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেছেন।
ঈদগাঁও ইউনিয়ন ইউনিয়ন ভূমি অফিস হল রুমে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে সোমবার দুপুরে অনুষ্ঠিত সভায় ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভারপ্রাপ্ত সহকারী ভুমি কর্মকর্তা খালেদা বেগম, সহকারী আবছার কামাল, ঈদগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলম, জালালাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ, ইসলামাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর ছিদ্দিক, ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ দেবাশীষ সরকার, জালালাবাদের সাবেক চেয়ারম্যান মাষ্টার আমান উল্লাহ ফরাজী, ঈদগাঁও বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাজিবুল হক চৌধুরী রিকো, দপ্তর সম্পাদক ছৈয়দ করিম, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মাষ্টার নুরুল আজিম, শওকত আলম, আবদু ছালাম, সেলিম মোর্শেদ ফরাজী, সাইফুল ইসলাম এমইউপি, ঈদগাঁও বাজার ইজারাদার রমজান আলীসহ রাজনীতিবিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা তাদের মতামত তুলে ধরেন।
সভা শেষে কউক চেয়ারম্যান, ইউএনওসহ উপস্থিত সবাই ঈদগাঁও বাজারের অলিগলি পরিদর্শন করেন। এসময় আইন মেনে অবৈধ স্থাপণাসহ ঝুপড়ি ও হতাকরদের অপসারণের বিষয়ে সবাই একমত হন।
সভায় যানজট নিরসনে করণীয় নির্ধারণে জালালাবাদ ও ঈদগাঁও ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাজার থেকে আয় করা রাজস্ব বাজারের উন্নয়নে খরচ করা হবে বলে আশ^াস দেন ইউএনও। তবে বাজারের সার্বিক উন্নয়নে সদর আসনের সাংসদের সাথে সমন্বয় সাধন ও সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করার বিষয়ে একমত হন সবাই।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে ঈদগাঁও বাজারের প্রধান সড়কসহ অলিগলি খানা-খন্দকে ভরে আছে। কাদা ও ময়লা আবর্জনায় ভরপুর সর্বত্র। যা নিয়ে ব্যবসায়ী, বাজারবাসী, ক্রেতাসাধারণ ও শিক্ষার্থীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ###
পাঠকের মতামত: